কম্পিউটার সিস্টেম এর সাথে I/O ডিভাইসের সংযোগ ও ব্যবহার Computer Input and Output
কীবোর্ডের Key পরিচিতি ব্যবহার কীবোর্ড
কীবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারে ডাটা ইনপুট করার একটি অতি জনপ্রিয় ডিভাইস। ভয়েস Recognition সিস্টেম প্রবর্তিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কীবোর্ডের এ জনপ্রিয়তা বহাল থাকবে। কম্পিউটার কীবোর্ড টাইপরাইটার কীবোর্ডের সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
Advanced-১০১ কীবোর্ড:
১৯৮৭ সালে ১০১ কী বিশিষ্ট কীবোর্ড লেআউট তৈরি করা হয়। এ কীবোর্ডকে Enhanced কীবোর্ড বলা হয়ে থাকে। এ কীবোর্ডে XT কীবোর্ড কিংবা AT কীবোর্ডের লেআউটে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। এ কীবোর্ডের কার্সর মুভমেন্ট করানোর জন্য চারটি কী বিশিষ্ট একটি নতুন প্যাড এবং বিভিন্ন কন্ট্রোল কী সমূহ কে duplicate করে আর একটি নতুন প্যাড তৈরি করা হয়। (Computer Input and Output)
আগের কীবোর্ড দশটি ফ্যাংশন কী ছিল। Advanced কীবোর্ডে আরও দুইটি ফাংশন কী সহ মোট ফাংশন কীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২টি। ফাংশন কীর লেআউট পরিবর্তন করে তা Alphabetic কী প্যাডের উপর দিকে এক সারিতে সাজানো হয়। একটি করে অতিরিক্ত ctrl কী ও Alt কী স্পেস বারের দুই প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে। (Computer Input and Output)
উইন্ডোজ-১০৪ কীবোর্ড :
Compatible কম্পিউটার প্রস্তুত কারকগণ আইবিএম কীবোর্ডের লেআউটের সাথে মিল রেখে ১০টি কী বিশিষ্ট একটি কীবোর্ড তৈরি করে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে কীবোর্ড থেকে আরও ভালোভাবে অপারেট করার জন্য ১০১ কীবোর্ড অতিরিক্ত তিনটি কী সংযোজন করে ১০টি কী বিশিষ্ট কীবোর্ড তৈরি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কী তিনটির মধ্যে দুইটি Windows কী এবং একটি হচ্ছে Popup Menu কী। Windows কী দুইটির উপরে উইন্ডোজ লগো দেওয়া হয়েছে। এ কী দুইটি স্পেসবারে বামে ও ডানে স্থাপন করা হয়েছে। যে কোন Windows কীতে চাপ দিলে তা উইন্ডোজ Task Manager প্রদর্শন করবে। Popup Menu কীটি চাপ দিলে কার্সর অবস্থানের আইটেমকে নির্বাচন করে। এ কীটি কীবোর্ডের ডান দিকে অবস্থিত। (Computer Input and Output)
Wireless কীবোর্ড
সম্প্রতি ওয়্যারলেস কীবোর্ডের প্রচলন হয়েছে। এ কীবোর্ড ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি কোন ক্যাবল দ্বারা সংযোগ করার প্রয়োজন হয় না। ইহা অনেকটা রিমোর্ট কন্ট্রোলের মতো কাজ করে। ওয়্যারলেস কীবোর্ড IR (Infrade) বা RE (Radio Feraquency) ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে সিরিয়াল ডাটা প্রেরণ করে।
এ কীবোর্ডে অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি ও ট্রান্সমিটারের সাহায্যে ডাটা বা তথ্য একটি এক্সটারনাল বক্সে প্রেরণ করে। এ বাক্সটি মাদার বোর্ডের AT বা PS/2 কানেকটরের সাথে সংযোগ করে নিতে হয়। (Computer Input and Output)
কীবোর্ড কানেক্টর
কীবোর্ডের কোন কী চাপ দিলে তা Scan কোনড জেনারেটর করে। এ Scan কোড কম্পিউটারে সিরিয়াল অনুসারে প্রেরণ করা হয়। সিরিয়াল অনুসারে কোন ডাটা প্রেরণ করার জন্য এক ক্যাবল বিশিষ্ট Conductor দরকার হয়। ডাটা সিগনালের Return Path- এর জন্য দ্বিতীয় Conductor, Clock সিগনালের জন্য তৃতীয় Conductor এবং কীবোর্ডের 5 Volt DC পাওয়ার সংযোজনের জন্য আর একটি Conductor ব্যবহৃত হয়। এই চারটি সিগনালেই কীবোর্ড এবং কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ সাধনের প্রয়োজন হয়। এ সকল সিগনালকে Physically কানেকটর হিসেবে প্রকাশ করা হয়। (Computer Input and Output)
প্রায় সকল কম্পিউটার এবং কীবোর্ড প্রস্তুতকারকগণ একই রকম কানেক্টর বিশিষ্ট কীবোর্ড প্রস্তুত করে থাকে। PS/2 এবং AT ইন্টারফেস একটি আর একটির সাথে Compatible। ওয়ারলেস কীবোর্ডের জন্য আভ্যন্তরীণ ব্যাটারি এবং ট্রান্সমিটার ব্যবহার করা হয়। USB কীবোর্ড ব্যবহার করার জন্য USB পোর্ট কিংবা- USB এ সংযোগ দিতে হবে। নিম্নে বিভিন্ন রকম কানেক্টর নিয়ে আলোচনা করা হলো। (Computer Input and Output)
৬-পিন কানেক্টর
আই বি এম ১৯৮৭ সালে PS/2 কম্পিউটার বাজারজাত করে। এ কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য কতিপয় প্রস্তুতকারকগণ 6-Pin DIN কানেক্টর বিশিষ্ট কীবোর্ড তৈরি করে। একে PS/2 স্টাইল কীবোর্ড ও বলা হয়।
6-Pin কানেক্টরের ওয়ারিং 5-PIN কানেক্টরের মতো একই। 6-Pin এ ক্ষেত্রে দুইটি Conductor রিজার্ভে রাখতে হয়। নিম্নের টেবিলে 6-Pin বিশিষ্ট কানেক্টরের পিন লেআউট দেওয়া হলো। (Computer Input and Output)
কীবোর্ড ইনস্টল করা
কম্পিউটারে কীবোর্ড ইনস্টল করা অত্যন্ত সহজ। যে কেহ অনায়াসেই কীবোর্ড ইনস্টল করতে পারে। মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ট-ইন সিরিয়াল পোর্ট থাকে। এ পোর্টের সাথে কীবোর্ড সংযোগ করতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে মাদারবোর্ডে যে ধরনের পোর্ট আছে কীবোর্ডে ও একই ধরনের পোর্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ মাদারবোর্ডে PS/2 পোর্ট থাকলে PS/2 কানেক্টর বিশিষ্ট কীবোর্ড সংযোগ করতে হবে। আবার মাদারবোর্ডে USB পোর্ট থাকলে USB জ্যাক বিশিষ্ট কীবোর্ড কানেক্টর ব্যবহার করতে হবে। (Computer Input and Output)
মাউসের পরিচিতি ও ব্যবহার
Douglas C. Engelbart স্টান্ডফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণা (১৯৫৭-৭৭) কালীন সময়ে পয়েন্টিং ডিভাইসের ধারণা উদ্ভাবন করেন। যা পরবর্তী কালে কম্পিউটারে ইনপুট ডিভাইস মাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোন অবজেক্টকে পয়েন্ট করে উহাতে ক্লিক করে কমান্ড কার্যকরী করা হয়। মাউস কম্পিউটারের সাথে একখণ্ড চিকন তার দ্বারা যুক্ত করা থাকে। কোন সমতল জিনিসের উপর মাউস নড়াচড়া করালে কম্পিউটারে পর্দায় পয়েন্টার সে অনুযায়ী নড়াচড়া করে। (Computer Input and Output)
মাউসে কমপক্ষে দুইটি বাটন থাকে। কোন কোন মাউসে আবার তিনটি বাটন তাকে। মাউসের কোন বাটনে চাপ দেওয়াকে বলে ক্লিক করা। মাউস পয়েন্টার কোন কমান্ডের উপর রেখে ক্লিক করলেই উক্ত কমান্ডটি নির্বাচন করা বুঝায়।
মেকানিজম এর Based on the mouse 2টি ভাগে ভাগ করা হয়। এ 2টা ভাগ হচ্ছে-
খ) অপটিক্যাল মাউস
ক) মেকানিক্যাল মাউস
মেকানিক্যাল মাউস
মেকানিক্যাল মাউসের মধ্যে একটি ছোট বল থাকে। বলটি যে কোন দিকে ঘুরতে পারে কিন্তু ইহা কেবল মাত্র চারটি ডাইরেকশনকে বুঝতে পারে। বলের একটি সুইচ থাকে, যাতে বলের নড়ার উপর ভিত্তি করে কার্সরটিও সে অনুযায়ী নড়াচড়া করতে পারে। (Computer Input and Output)
অপটিক্যাল মাউস অপটিক্যাল মাউসে ছোট বাটি থাকে না। এর পরিবর্তে যাইট বিম থাকে, এটি কার্সর নড়ানোর কাছে সাহায্য করে। মাউসও ক্যাবলের সাহায্যে কম্পিউটারে সংযুক্ত থাকে। তবে ইদানিং ক্যাবল ছাড়া রিমোট মাউস পাওয়া যাচ্ছে। অপটিক্যাল মাউস সাধারণত দুই শেয়ার LED, মাউসের নিচের দিকে একটি Phou Conduitur ব্যাবহার করে। ইহা বিশেষভাবে তৈরি মাটস প্যাচের উপর মাউসের Moveme নির্ণয় করে। (Computer Input and Output)
মাউস ইন্টারফেস
কম্পিউটারের সাথে কমিউনিকেট করার জন্য মাউসকে যথাযথ পোর্টের সাথে সংযোগ প্রদান করতে হবে।
মাউসকে তিনভাবে কম্পিউটারের সাথে সংযোগ প্রদান করতে হয়।
খ) এক্সপেনশন পোর্টের সাথে এ্যাডাপটার লাগিয়ে
ক) সিরিয়াল পোর্ট
গ) বিল্ট-ইন-মাউস পোর্ট
উপরোক্ত পোর্টসমূত্রের সাথে যে সকল মাউস সংযোগ দেওয়া হয় তাকে যথাক্রমে সিরিয়াল মাউস, বাস মাউস এবং Prosprietary মাউস বলে। নিম্নে এ সকল মাউস ইন্টারফেস নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সিরিয়াল মাউস
প্রত্যেক কম্পিউটারে কমপক্ষে দুইটি সিরিয়াল পোর্ট থাকে। সিরিয়াল পোর্টের সাথে যে মাউস সংযোজন দেওয়া হয় তাকে সিরিয়াল মাউস বলে। সিরিয়িাল পোর্টে মাউস সাধারণ প্রতি সেকেন্ডে ১২০০ বি ভাই কমিউনিকেট করে। মাউস অপারেট করার সময় IRQ জেনারেট করে। অপারেটিং সিস্টেমের ড্রাইভয় সফটওয়্যার মাউস মুভমেন্টের সময় IRQ জেনারেট করতে অগ্রাধিকার প্রদান করে। কিন্তু কম্পিউটারে যদি দুইয়ের অধিক সিরিয়াল পোর্ট থাকে, তাহলে কোন পোর্টে মাউস সংযোগ করা যাবে সে ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে হবে। কারণ সিরিয়াল পোর্ট ১ এবং সিরিয়াল পোর্ট-ও একই IRQ শেয়ার করে। আবার সিরিয়াল পোর্ট-২৪ সিরিয়াল পোর্ট-৩ একই IRQ শেয়ার করে। ফলে সিরিয়াল পোর্ট-১ এ মাউস ইনস্টল করলে পোর্ট-৪ এ এন কোন ডিভাইস ইনস্টল করা উচিত নয় যা মাউসের সাথে Conflict করতে পারে। একইভাবে পোর্ট-২ এ মাউস ইনস্টল করলে পোর্ট-৩ এ Conflict করে এরকম কোন ডিভাইস ইনস্টল করা উচিত নয়। (Computer Input and Output)
বাস মাউস
মাদারবোর্ডের কোন স্লটের সাথে এক্সপানশন কার্ড লাগিয়ে উক্ত কার্ড থেকে মাউস পোর্ট ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ বাস ইন্টারফেস বোর্ডের মাধ্যমে এ মাউসকে কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করা হয়। কম্পিউটারের যে কোন স্লটের সাথে বাস ইন্টারফেস কার্ড বসানো যায়। বাস মাউস সংযোগ করার জন্য ৯-পিন কানেক্টর থাকে। বাস মাউস পোর্টে মেকানিক্যাল বা অপটিক্যাল যে কোন মাউস কানেক্ট করা যায়। (Computer Input and Output)
Proprietrary মাউস
আই রি এম PS/2 এবং কিছু Compaq কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে বিল্ট-ইন মাউস পোর্ট থাকে। সিরিয়াল মাউসে IRQ Conflict করার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেরকম অসুবিধা নাই।
মাউস ইনস্টল করা
কম্পিউটারে মাউস ইনস্টল করা অত্যন্ত সহজ। যে কেহ অনায়সেই কীবোর্ড মাউস করতে পারে। মাদারবোর্ডে যে ধরনের পোর্ট থাকে মাউসও একই ধরনের পোর্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ মাদারবোর্ডে PS/2 পোর্ট থাকলে PS/2 কনেকটর বিশিষ্ট মাউস সংযোগ করতে হবে। আবার মাদারবোর্ডে USB পোর্ট থাকলে USB কানেকটর কানেক্ট করতে হবে। (Computer Input and Output)
মাউস কনিফগার করা
মাউসের বিভিন্ন কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কন্ট্রোল প্যানেলের আওতায় Mouse নামে একটি আইকন রয়েছে। উক্ত আইকনে ডাবল-ক্লিক করলে নিম্নরূপ Mouse Properties উইন্ডো প্রদর্শন করা যাবে।
১। ডেস্কটপ থেকে যথাক্রমে My Computer এবং Control Panel আইকনে ডাবল ক্লিক করে তা ওপেন করতে হবে।
২। Mouse আইকনে ডাবল-ক্লিক করতে হবে। নিম্নরূপ Mouse Properties উইন্ডো আসবে।
Mouse Properties ডায়লগ বক্সে চারটি ট্যাব রয়েছে বিভিন্ন ট্যাব থেকে মাউসের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নিম্নে ট্যাবসমূহের কার্যকারিতা আলোচনা করা হলো।
মাউস বাটন নির্ধারণ:
১। স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য মাউসের বাম বাটন কিংবা ডান বাটন ব্যবহা করা নির্ধারণ করা হয়। এ জন্য ডায়লগ বক্স থেকে Right Handed বা Left Handed রেডিও বাটন নির্বাচন করা হয়। (Computer Input and Output)
২। কত দ্রুত মাউস বাটন চাপ দিয়ে ডাবল-ক্লিক কার্যকরী করা হবে ডায়লগ বক্সে Double Click Speed এরিয়া থেকে নির্ধারণ করা যায়।
পয়েন্টারের ধরন নির্ধারণ
কম্পিউটারের বিভিন্ন কার্যকারীতার সময়ে মাউস পয়েন্টারের আকৃতি কেমন হবে তা Mouse Properties ডায়লগ বক্সের Pointers ট্যাব থেকে নির্বাচন করা যায়।
১। Mouse Properties থেকে Pointers ট্যাব ক্লিক করতে হবে। ডায়লগ বক্সটি নিম্নরূপ প্রদর্শিত হবে।
২। Scheme লিস্ট বক্স ক্লিক করলে মাউস পয়েন্টারের বিভিন্ন স্কিমের নাম পাওয়া যাবে। এক একটি Scheme নির্বাচন করে ডায়লগ বক্সের মধ্যে উহার ফলাফল লক্ষ করতে হবে।
৩। পছন্দমতো Scheme নির্বাচন করতে হবে।
৪। OK বাটন ক্লিক করে ডেস্কটপে ফিরে আসুন। কাজ করার সময় নির্বাচন অনুযায়ী মাউস পয়েন্টারের আকৃতি প্রদর্শিত হবে।
পয়েন্টারের গতি নির্ধারণ:
মাউসের পয়েন্টারের গতি কেমন হবে এবং মাউস পয়েন্টারের সাথে কোন Trail থাকবে কীনা তা নির্ধারণ করার জন্য Mouse Properties ডায়লগ বক্স থেকে Motion ট্যাব ব্যবহার করা হয়।
২। Pointer Speed এরিয়াতে দেখা যাবে, একটি বক্সের এক প্রান্তে Slow এবং অপর প্রান্তে Fast লেখা আছে। বক্সের মধ্যে একটি Selector রয়েছে।
Selector টি ড্রাগ করে Slow প্রান্তের দিকে নিলে পয়েন্টারের গতি ধীর হবে এবং Selector কে সরিয়ে Fast প্রান্তের দিকে আনলে পয়েন্টার গতি দ্রুততর হবে। (Computer Input and Output)
মাউস Trail দেওয়া
১। Pointer trail এরিয়াতে Show Pointer trails চেক বক্সটি নির্বাচন করে মাউসের সাথে একটি লেক জুড়ে দেওয়া যায়।
লেজটি কতটুকু লম্বা হবে তা Pointer Trail এরিয়াতে Selector কে Short বা Long প্রান্তে সরিয়ে নির্ধারণ করা যাবে।