কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম সিস্টেম মনিটরের বাহ্যিক কন্ট্রোলগুলোর পরিচিতি
মনিটর হচ্ছে কম্পিউটারের একটি প্রধান আউটপুট ডিভাইস। আমরা কম্পিউটারে যত কাজ করি, যে সকল কমান্ড প্রয়োগ করি এবং তার ফলাফল মনিটরে প্রদর্শিত হয় মনিটর কত সূক্ষ্মভাবে আউটপুট প্রদর্শন করা তা মনিটরের রেজুলেশনের উপর নির্ভর করে। মনিটর স্ক্রিনে আউটপুট বা কোন চিত্র প্রদর্শন করার জন্য অসংখ্য ছোট ছোট বিন্দু ব্যবহৃত হয়। এ বিন্দুকে বলে পিক্সেল। প্রতিটি পিক্সেল পরস্পর কতটুকু দূরত্বে অবস্থান করবে তার দূরত্বকে dot pitch বলা হয় এ dot pitch পরিমাপ করা হয় মিলিমিটারে। dot pitch যত কম হবে মনিটরের রেজিউলেশন তত বেশি হবে। সাধারণত মনিটরের dot pitch হলো ০.৩৪, ০.৩১, ০.২৮ এবং ০.২৬ মি: মি:।
মনিটর সাধারণত নিম্নোক্ত প্রকারের হয়ে থাকে।
- MDA (Monochrome display adapter)
- CGA (Color display adapter)
- VGA (Video Graphics adapter)
- SVGA (Super video graphic array)
- LCD (Liquid crystal display)
বর্তমানে SVGA মনিটর বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। LCD মনিটরে ১০০% Flat যার জন্য এটি গ্রাফিক্স এবং মাল্টিমিডিয়া কাজের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
মনিটর ও স্ক্রিনের আকার: বর্তমানে বিভিন্ন আকৃতির মনিটর পাওয়া যায়। নিম্নে মনিটরের আকৃতি এবং সম্ভাব্য স্ক্রিন এরিয়া দেওয়া হলো।
মনিটর সাইজ ও রেজুলেশন
মনিটরে কত রেজুলেশন ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত তার একটি মান নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। স্ক্রিনে কত রেজুলেশন ব্যবহার করতে হবে তা নির্ভর করে মনিটরের আকারের উপর। যদিও ব্যবহকারকারী ইচ্ছে করলে এ রেজুলেশনের পরিমাণ কম/বেশি নির্ধারণ করে নিতে পারেন। তবে ছোট স্ক্রিনে অপেক্ষাকৃত নিচের টেবিলে মনিটর আকৃতি এবং স্টান্ডার্ড রেজুলেশন দেওয়া হলো।
কিছু ভিডিও কার্ড আছে যা সকল ধরনের রেজুলেশন জেনারেট করতে পারে, আবার কিছু ভিডিও কার্ড আছে যা কেবল হাই রেজিলেশন জেনারেট করতে পারে।
মনিটরে কালার মনিটর সাধারণ নিম্নোক্ত কালারসমূহ প্রদর্শন করতে পারে। এক ধরনের কালার সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোকে Color depth ও বলা হয়ে থাকে। মনিটর সাধারণত যে সকল কালার depth প্রদর্শন করতে পারে তা নিম্নের টেবিলে দেওয়া হলো।
মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন রান করানোর জন্য ন্যূনতম ৬৪k বা ৩২০ কালার দরকার হয়। স্টান্ডার্ড অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজসমূহ যেমন ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম এ সকল প্রোগ্রাম ১৬ থেকে ২৫৬ কালার প্রয়োজন হয়। অনেক ইন্টারনেট সাইটে ২৫৬ থেকে ৬৪ কালার প্রয়োজন হয়। ভিডিও কার্ডে কি পরিমাণ মেমোরি আছে তার উপর কালার ডেপথ নির্ভর করে। কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম
(কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম) (কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম) কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ম)
সিস্টেম ইউনিটের সমানের ও পিছনের প্যানেলের বিভিন্ন টার্মিনাল, সকেট, পোর্ট ও এ্যাকসেস ইনডিকেটরগুলো চিহ্নিত করা ও সংযোগ প্রদান করা।
পোর্ট
আমরা কম্পিউটারে সাথে একাধিক সিরিয়াল পোর্ট ও প্যারালাল পোর্ট ব্যবহার করে থাকি। আগের কম্পিউটারসমূহ যেমন 386 বা 486 কম্পিউটারে I/O অ্যাডাপটার লাগানো হতো তা থেকে সিরিয়াল পোর্ট ও প্যারালাল পোর্ট পাওয়া যেত। বর্তমানে অধিকাংশ মাদারবোর্ডে সিরিয়াল ও প্যারালাল পোর্ট কানেক্টর বিল্ট-ইন-থাকে।
সাধারণত প্যারালাল পোর্টে প্রিন্টার এবং সিরিয়াল পোর্ট মাউস ও কীবোর্ড সংযোগ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সরবরাহকৃত পোর্টের অতিরিক্ত পোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। যেমন কেউ যদি একাধিক প্রিন্টার ব্যবহার করতে চায় সে জন্য একাধিক প্যারালাল পোর্টের প্রয়োজন হতে পারে । এ অতিরিক্ত প্যারালাল ও
সিরিয়াল পোর্টের যোগান দেওয়ার জন্য I/O কার্ড সংযোগ করে নেওয়া। একটি কম্পিউটারে সাধারণ একটি প্যারালাল পোর্ট এবং দুইটি সিরিয়াল পোর্ট থাকে। বর্তমানে এ পোর্ট সমূহ মাদারবোর্ডে বিল্ট ইন অবস্থায় পাওয়া যায়। নিম্নের চিত্রে একটি মাদারবোর্ডে এ সকল পোর্ট লক্ষ করা যাক।
এ সকল পোর্টসমূহ সরাসরি মাদারবোর্ড থেকে কেসিংয়ের পিছন দিকে বসে কিংবা রিবন ক্যাবল দ্বারা কেসিংয়ের পিছন দেকি সকেট কানেক্টরের সাথে সংযোগ প্রদান করা হয়।
আগের মাদারবোর্ডসমূহে এ সকল পোর্ট বিল্ট-ইন অবস্থায় থাকত না। তখন কোন বাস স্লটের সাথে I/O অ্যাডাপটার লাগিয়ে এ সকল পোর্ট ব্যবহার করা হতো। I/O অ্যাডাপটারে সাধারণত একটি বা দুইটি প্যারালাল পোর্ট দুইটি সিরিয়াল পোর্ট এবং একটি গেম পোর্ট থাকে।
প্যারালাল পোর্ট
কম্পিউটারের প্যারালাল পোর্ট সাধারণত LPT পোর্ট নামে পরিচিত। LPT শব্দটি Line Printer থেকে এসেছে। প্যারালাল পোর্টে সাধারণত প্রিন্টার সংযোগ দেওয়া হয় ফলে এরকম নাম করণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে প্যারালাল পোর্টে বিভিন্ন রকমন কম্পিউটার ডিভাইস সংযোগ প্রদান করা হয়। যেমন SCSI ডিভাইস, এক্সটারনাল CD ROM ড্রাইভ ইত্যাদি। কম্পিউটারে একাধিক প্যারালাল পোর্ট থাকলে তাকে LPT1, LPT2 এভাবে চিহ্নিত করা হয়।
বর্তমানে ECP এবং EPP নামে আর এক ধরনের পোর্টের প্রচলন লক্ষ করা যাচ্ছে ECP এর সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Enhanched Capabilities এবং EPP এর সম্পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Enhanced Parallel Port । ১৯৯১ সালে EPP পোর্টকে প্রাথমিকভাবে LAN Adapter, ডিস্ক ড্রাইভ, সিডিরম ড্রাইভ ইত্যাদি ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়। ১৯৯২ সনে ECP পোর্টের প্রচলন শুরু হয়। হাই স্পিড প্রিন্টার সংযোগ প্রদান করার জন্য ECP পোর্ট ব্যবহার করা হয়।
সিরিয়াল পোর্ট
এই পোর্ট সিরিয়াল ফাংশন অনুযায়ী অর্থাৎ এক বিট এক বিট করে ডাটা আদান প্রদান করে বলে এর নাম করণ করা হয়েছে সিরিয়াল পোর্ট। সিরিয়াল পোর্টকে COM পোর্ট ও বলা হয়। ডাটা Communication করে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।
COM পোর্ট সাধারণত মডেম, মাউস, সিরিয়াল প্রিটিং ডিভাইস, প্লোটার ইত্যাদি সংযোগ করা হয়ে থাকে। সিরিয়াল পোর্ট দুই ধরনের কনফিগারেশন থাকে যথা ৯-পিন ও ২৫ পিন। তাই ৯-পিন ও ২৫-পিন ক্যাবল দ্বারা উহাকে সংযোগ করতে হয়। সিরিয়াল পোর্টের সাথে পোর্ট অ্যাডাপটার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস সংযোগ করা যায়।
সিস্টেম ইউনিটের সামনের ও পিছনের পোর্টসমূহ
কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে একাধিক সিরিয়াল পোর্ট, প্যারালাল পোর্ট ও ইউএসবি পোর্ট থাকে। মাদারবোর্ড ইনস্টল করার পরে এর বিভিন্ন পোর্টসমূহ সিস্টেম ইউনিটের পিছন দিকে প্রদর্শিত হয়। এ সকল পোর্টের সাথে কম্পিউটারের যন্ত্রগুলো সংযোগ দেওয়া হয়।